Dp News
৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:১৭ অপরাহ্ন
অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশ কৃষিগবেষশণা ইনস্টিটিউট (গাজীপুর)

বাংলাদেশ কৃষিগবেষশণা ইনস্টিটিউট (গাজীপুর) আজিজুল ইসলাম শ্রীপুর গাজীপুর প্রতিনিধি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ গবেষণা প্রতিষ্ঠান যা ২০৫ টির ও বেশি কৃষি বিষয়ক ফসলের গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে। ইনস্টিটিউ জাতীয় কৃষি গবেষণা সিস্টেম এর সংক্ষিপ্ত বিবরন বাংলদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল আইন, ২০১২ এর আওতায় বিএআরসি-কে সর্বোচ্চ সংস্থা এবং ১৩টি কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট-কে বিএআরসির সংবিধানিক ইউনিট হিসাবে গন্য করে জাতীয় কৃষি গবেষণা সিস্টেম (নার্স) পূনর্গঠিত হয়। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিও এবং বেসরকারী খাত নার্স এর অংঙ্গ না হলেও গবেষণা সহযোগীতার সংগে যুক্ত। বিএআরসি সহ ১৩টি গবেষণা সংস্থার মধ্যে ৬টি স্বায়ত্বশাসিত এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন, বাকী সংস্থাগুলো অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের অধীন এবং ৩টি সংস্থা বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনষ্টিটিউট, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনষ্টিটিউট ও বাংলাদেশ তুলা উন্নয়ন বোর্ড সরকারী সংস্থা। বিএআরসি – কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় কৃষি গবেষণা সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান তফসিল ক প্রশাসনিক অবস্থা বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই) বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট(বিডাব্লিউএমআরআই) তফসিল খ মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই) কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারী সংস্থা বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (এফআরআই) মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারী সংস্থা বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) বাংলাদেশ টি বোর্ড, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বিএসআরটিই) পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ তুলা উন্নয়ন বোর্ড (সিডিবি) কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারী সংস্থা বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত। সর্ববৃহৎ এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে ১৬টি বিভাগ এবং ৭ টি গবেষণা কেন্দ্র, ৬ টি আঞ্চলিক কেন্দ্র ও ৩০ টি উপকেন্দ্র। দু’শর বেশি ফসল ও বিভিন্ন শস্যের ৩৭০টি উন্নত জাত এবং ৪২২ ধরনের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে। গবেষণার আওতায় শস্যের মধ্যে গম, ভূট্টা, চীনা, কাউন, ডালশস্য, তেলফসল, কন্দাল জাতীয় ফসল, ফল, ফুল, সবজি ও মসলা জাতীয় ফসল অন্যতম। দেশে গম উৎপাদন ঘাটতি কমানোর লক্ষে প্রায়োগিক গবেষণা অব্যহত রয়েছে এবং এযাবৎ বিভিন্ন অঞ্চল ভেদে ২৮টি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের প্রধান উৎস ডাল। কিন্তু দেশে ডালের প্রচুর ঘাটতি রয়েছে। ডালের উৎপাদন বাড়াতে ৭টি মসুর, ৯টি ছোলা, ৬টি মুগ, ২টি খেসারির উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। দেশে চাহিদার তুলনায় মাত্র এক-তৃতীয়াংশ তেল উৎপাদন হয়। ইনস্টিটিউট বহুমুখী তৈলবীজ গবেষণা ও অধিক উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষে ৩৩ টি জাত উদ্ভাবন করেছে। দেশ আলু উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এজন্য ইনষ্টিটিউটের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। উচ্চ ফলনশীল আলুর জাত উদ্ভাবন ও উন্নত বীজ উৎপাদনের ফলে হেক্টর প্রতি গড় উৎপাদন ৩০-৩৫ টন। বছর জুড়ে বৈচিত্র্যময় সবজির উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়ানোর লক্ষে ৮৪ টি সবজির জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন টমেটোর জাত উদ্ভাবনের ফলে কৃষকরা অধিক লাভবান হচ্ছে। ইনষ্টিটিউট আমের ওপর গবেষণা করে সুস্বাদু হাইব্রিড আমের জাত উদ্ভাবন করেছে। মসলা ঘাটতি কমাতে প্রায়োগিক গবেষণা জোরদার করে আদা, হলুদ, রসুন, পিঁয়াজ ইত্যাদির প্রায় ২০টি জাত উদ্ভাবনের ফলে উৎপাদন অনেক বেড়েছে। ফুল গবেষণার মাধ্যমে রজনীগন্ধা, গ্লাডিওলাস, অর্কিড, জারবেরা, এ্যান্থোরিয়াম-এর প্রায় ১৫ টি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে ফুল একটি রফতানীযোগ্য পণ্য হিসাবে প্রচুর সম্ভাবনা বিদ্যমান। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট দেশের প্রধান খাদ্য ধানের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ, উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন ও টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের লক্ষে ১৯৭০ সালে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ১৯টি গবেষণা বিভাগসহ ৯টি আঞ্চলিক কেন্দ্র রয়েছে। এ যাবৎ বিভিন্ন মৌসুমের উপযোগী ৬ (ছয়)টি হাইব্রিড ধান সহ ৯১টি উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে। বর্তমানে ব্যপক জনপ্রিয় ব্রি ধান ১১, ২৮,২৯ জাত দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ জমিতে কৃষকরা চাষাবাদ করছেন। উন্নত চাষাবাদ প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন ও দারিদ্র বিমোচনে অবদান রাখছে। মাটি, পানি, সার ব্যবস্থাপনা, পোকা মাকড় ও রোগবালাই দমন, কৃষি যন্ত্রপাতি ও ধানভিত্তিক খামার বিন্যাস প্রভৃতি বিষয়ের ওপর শতাধিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি উন্নয়নের ফলে দক্ষিণাঞ্চলের জোয়ারভাটা ও লবণাক্ত সহিষ্ণু, মঙ্গা ও হাওর এলাকার জন্য আগাম জাতসহ অন্যান্য ধানের জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। ধান ভিত্তিক শস্যবিন্যাস, রোগব্যাধি, ক্ষতিকর পোকা সনাক্ত ও দমন ব্যবস্থাপনা এবং জীববৈচিত্র রক্ষা করা হচ্ছে। আট হাজারের বেশি ধানের জার্মপ্লাজম সংগ্রহ করে জিন ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দেশে কৃষি শ্রমিকের সংখ্যা ক্রমাগত কমে যাচ্ছে। সে কারণে খাদ্য উৎপাদন কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছনোর কৌশল মোকাবেলায় কৃষকের কাজে সহায়তার লক্ষ্যে ধানের চারা বপন, ধান কাটা ও মাড়াই যন্ত্র কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ইউরিয়া সার ব্যবস্থাপনায় লিফ কালার চার্ট ব্যবহার প্রযুক্তি কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ইউরিয়া সারের অপচয় রোধ করবার লক্ষ্যে গুটি ইউরিয়া ব্যবহার উৎসাহিত করা হচ্ছে এবং যন্ত্রের সাহায্যে গুটি ইউরিয়া জমিতে প্রয়োগ করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে যন্ত্রপাতি ও নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেয়ার ফলে উৎপাদন খরচ কমানো সম্ভব হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব, ৭লোকসংখ্যার বাড়তি চাপ এবং কৃষি জমির পরিমান সংকুচিত হওয়া ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট

বাংলাদেশ কৃষিগবেষশণা ইনস্টিটিউট (গাজীপুর)

আজিজুল ফকির শ্রীপুর গাজীপুর

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ গবেষণা প্রতিষ্ঠান যা ২০৫ টির ও বেশি কৃষি বিষয়ক ফসলের গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে।
ইনস্টিটিউ জাতীয় কৃষি গবেষণা সিস্টেম এর সংক্ষিপ্ত বিবরন
বাংলদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল আইন, ২০১২ এর আওতায় বিএআরসি-কে সর্বোচ্চ সংস্থা এবং ১৩টি কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট-কে বিএআরসির সংবিধানিক ইউনিট হিসাবে গন্য করে জাতীয় কৃষি গবেষণা সিস্টেম (নার্স) পূনর্গঠিত হয়। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিও এবং বেসরকারী খাত নার্স এর অংঙ্গ না হলেও গবেষণা সহযোগীতার সংগে যুক্ত। বিএআরসি সহ ১৩টি গবেষণা সংস্থার মধ্যে ৬টি স্বায়ত্বশাসিত এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন, বাকী সংস্থাগুলো অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের অধীন এবং ৩টি সংস্থা বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনষ্টিটিউট, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনষ্টিটিউট ও বাংলাদেশ তুলা উন্নয়ন বোর্ড সরকারী সংস্থা।

বিএআরসি – কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় কৃষি গবেষণা সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান
তফসিল ক

প্রশাসনিক অবস্থা বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)
বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই)
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)
বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই)
বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট(বিডাব্লিউএমআরআই)

তফসিল খ
মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই)
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারী সংস্থা
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (এফআরআই)
মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই)
বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই)
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারী সংস্থা
বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই)
বাংলাদেশ টি বোর্ড, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান

বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বিএসআরটিই)
পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান

বাংলাদেশ তুলা উন্নয়ন বোর্ড (সিডিবি)
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারী সংস্থা
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত। সর্ববৃহৎ এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে ১৬টি বিভাগ এবং ৭ টি গবেষণা কেন্দ্র, ৬ টি আঞ্চলিক কেন্দ্র ও ৩০ টি উপকেন্দ্র। দু’শর বেশি ফসল ও বিভিন্ন শস্যের ৩৭০টি উন্নত জাত এবং ৪২২ ধরনের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে। গবেষণার আওতায় শস্যের মধ্যে গম, ভূট্টা, চীনা, কাউন, ডালশস্য, তেলফসল, কন্দাল জাতীয় ফসল, ফল, ফুল, সবজি ও মসলা জাতীয় ফসল অন্যতম। দেশে গম উৎপাদন ঘাটতি কমানোর লক্ষে প্রায়োগিক গবেষণা অব্যহত রয়েছে এবং এযাবৎ বিভিন্ন অঞ্চল ভেদে ২৮টি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের প্রধান উৎস ডাল। কিন্তু দেশে ডালের প্রচুর ঘাটতি রয়েছে। ডালের উৎপাদন বাড়াতে ৭টি মসুর, ৯টি ছোলা, ৬টি মুগ, ২টি খেসারির উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। দেশে চাহিদার তুলনায় মাত্র এক-তৃতীয়াংশ তেল উৎপাদন হয়। ইনস্টিটিউট বহুমুখী তৈলবীজ গবেষণা ও অধিক উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষে ৩৩ টি জাত উদ্ভাবন করেছে। দেশ আলু উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এজন্য ইনষ্টিটিউটের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। উচ্চ ফলনশীল আলুর জাত উদ্ভাবন ও উন্নত বীজ উৎপাদনের ফলে হেক্টর প্রতি গড় উৎপাদন ৩০-৩৫ টন। বছর জুড়ে বৈচিত্র্যময় সবজির উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়ানোর লক্ষে ৮৪ টি সবজির জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন টমেটোর জাত উদ্ভাবনের ফলে কৃষকরা অধিক লাভবান হচ্ছে। ইনষ্টিটিউট আমের ওপর গবেষণা করে সুস্বাদু হাইব্রিড আমের জাত উদ্ভাবন করেছে। মসলা ঘাটতি কমাতে প্রায়োগিক গবেষণা জোরদার করে আদা, হলুদ, রসুন, পিঁয়াজ ইত্যাদির প্রায় ২০টি জাত উদ্ভাবনের ফলে উৎপাদন অনেক বেড়েছে। ফুল গবেষণার মাধ্যমে রজনীগন্ধা, গ্লাডিওলাস, অর্কিড, জারবেরা, এ্যান্থোরিয়াম-এর প্রায় ১৫ টি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে ফুল একটি রফতানীযোগ্য পণ্য হিসাবে প্রচুর সম্ভাবনা বিদ্যমান।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট
দেশের প্রধান খাদ্য ধানের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ, উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন ও টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের লক্ষে ১৯৭০ সালে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ১৯টি গবেষণা বিভাগসহ ৯টি আঞ্চলিক কেন্দ্র রয়েছে। এ যাবৎ বিভিন্ন মৌসুমের উপযোগী ৬ (ছয়)টি হাইব্রিড ধান সহ ৯১টি উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে। বর্তমানে ব্যপক জনপ্রিয় ব্রি ধান ১১, ২৮,২৯ জাত দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ জমিতে কৃষকরা চাষাবাদ করছেন। উন্নত চাষাবাদ প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন ও দারিদ্র বিমোচনে অবদান রাখছে। মাটি, পানি, সার ব্যবস্থাপনা, পোকা মাকড় ও রোগবালাই দমন, কৃষি যন্ত্রপাতি ও ধানভিত্তিক খামার বিন্যাস প্রভৃতি বিষয়ের ওপর শতাধিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি উন্নয়নের ফলে দক্ষিণাঞ্চলের জোয়ারভাটা ও লবণাক্ত সহিষ্ণু, মঙ্গা ও হাওর এলাকার জন্য আগাম জাতসহ অন্যান্য ধানের জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। ধান ভিত্তিক শস্যবিন্যাস, রোগব্যাধি, ক্ষতিকর পোকা সনাক্ত ও দমন ব্যবস্থাপনা এবং জীববৈচিত্র রক্ষা করা হচ্ছে। আট হাজারের বেশি ধানের জার্মপ্লাজম সংগ্রহ করে জিন ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দেশে কৃষি শ্রমিকের সংখ্যা ক্রমাগত কমে যাচ্ছে। সে কারণে খাদ্য উৎপাদন কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছনোর কৌশল মোকাবেলায় কৃষকের কাজে সহায়তার লক্ষ্যে ধানের চারা বপন, ধান কাটা ও মাড়াই যন্ত্র কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ইউরিয়া সার ব্যবস্থাপনায় লিফ কালার চার্ট ব্যবহার প্রযুক্তি কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ইউরিয়া সারের অপচয় রোধ করবার লক্ষ্যে গুটি ইউরিয়া ব্যবহার উৎসাহিত করা হচ্ছে এবং যন্ত্রের সাহায্যে গুটি ইউরিয়া জমিতে প্রয়োগ করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে যন্ত্রপাতি ও নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেয়ার ফলে উৎপাদন খরচ কমানো সম্ভব হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব, ৭লোকসংখ্যার বাড়তি চাপ এবং কৃষি জমির পরিমান সংকুচিত হওয়া ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।

Facebook Comments Box

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জব্দ থেকে বাঁচতে পুলিশ কে ঝুলিয়ে নিলো এক কিলোমিটার 

শ্রীপুরের প্রতারক নাজমুল গ্রেফতার

শ্রীপুরে শতবর্ষী পুরোনো সড়ক বন্ধের পাঁয়তারা, এলাকাবাসীর প্রতিবাদ

ক্ষমা চাইলেন পুলিশ কমিশনার,গাজীপুর সদর থানার ওসি বরখাস্ত,

ভাওয়াল রাজবাড়ীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভে গুলি আহত ১

সারাদেশে যৌথ বাহিনীর অপারেশন ডেভিল হান্ট আজ থেকে শুরু

ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুলের মেয়ে- জামাইকে সংবর্ধনা 

নিকলী উপজেলায় টিউবওয়েল উদ্বোধন করলেন জামায়াত নেতা অধ্যাপক মোঃরমজান আলী

পটিয়ায় বনবিভাগের অভিযানে ৩৫০ টুকরো অবৈধ সেগুন কাঠ জব্দ

বাংলাদেশ স্কাউটস মির্জাপুর ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল ২০২৫ অনুষ্ঠিত। 

১০

টাঙ্গাইল মির্জাপুরের সেই ৭ ইটভাটা আবারও গুড়িয়ে দিলো প্রশাসন

১১

আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব

১২

জামালপুরে ত্রিমুখী সংঘর্ষে চালক ও যাত্রীসহ নিহত ৪

১৩

মির্জাপুরে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া চাইলেন সাঈদ সোহরাব

১৪

অমৃতের স্বাদ মিটাব বিষ পানে

১৫

রবিতে স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে যোগ দিলেন রংধনু মডেল স্কুলের শিক্ষার্থীরা

১৬

আলভি টেক গ্রুপের মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে

১৭

শাহজাদপুরে বিএনপি’র বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত

১৮

মির্জাপুরে মাটি ব্যবসায়ীকে দেড়লাখ টাকা জরিমানা

১৯

টাঙ্গাইলে ভয়ংকর পর্নোগ্রাফি চক্র, অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে

২০