মির্জাপুরে জয়পুরহাটের কলা ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় দুই ডাকাত গ্রেপ্তার
মির্জাপুর উপজেলা প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মহাসড়কে বস্তা ফেলে ডাকাতিকালে জয়পুরহাটের কলা ব্যবসায়ী তোজাম্মেল হক বাবু (৪৫) হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গল ও বুধবার রাতে পৌর এলাকায় পুষ্টকামুরী সওদাগরপাড়ায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মির্জাপুর পৌর এলাকায় পুষ্টকামুরী সওদাগর পাড়ার আব্দুর রশিদ এর বড় ছেলে বিল্লাল হোসেন (২৬) এবং একই গ্রামের মঞ্জু সওদাগরের ছেলে সোহাগ সওদাগর (২৫) নিহত তোজাম্মেল হক বাবু জয়পুরহাট জেলা সদরের নাজিপাড়া গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে। পুলিশ জানায়, রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) কলা ব্যবসায়ী তোফাম্মেল হক বাবু নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থেকে পিকআপে কলা নিয়ে ঢাকার আশুলিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাস এলাকার পুষ্টকামুরী ব্রিজের কাছে পৌঁছালে পিকআপের চালক জুয়েল মহাসড়কের ওপর একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় চালক গাড়ি থামিয়ে মহাসড়ক থেকে বস্তা তুলতে গেলে সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ডাকাত দল গাড়িতে বসে থাকা কলা ব্যবসায়ী তোজাম্মেল হক বাবুর ওপর হামলা চালায়। এসময় ডাকাতরা তার কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করার চেষ্টা চালায়। তিনি বাধা দিলে ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তোজাম্মেল হক বাবু গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পিকআপে থাকা নিহত বাবুর চাচাতো ভাই মো. নাহিদ হোসেন ঘটনার পরদিন ১৬ ডিসেম্বর অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনকে আসামি করে মির্জাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার একদিন পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে পুষ্টকামুরী সওদাগরপাড়া থেকে বিল্লাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে টাঙ্গাইল আদালতে হাজির করা হলে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। বিল্লালের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর আসামি একই এলাকার সোহাগ সওদাগরকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বুধবার সোহাগকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মোশারফ হোসেন বলেন, ঘটনা ঘটার ১৭ ঘণ্টার ব্যবধানে অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বিল্লাল হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তার দেওয়া তথ্যে অপর আসামি সোহাগকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন