স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধ* র্ষণের পর হ* ত্যা: গ্রেফতার…
বরিশাল প্রতিনিধি
বরিশালের গৌরনদীতে নিখোঁজের ১০ দিন পর পুকুর থেকে এক স্কুলছাত্রীর (১০) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার তিন আসামি পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। সেইসঙ্গে হত্যার আগে শিশুটিকে ধর্ষণের কথা জানিয়েছেন তারা। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এরই মধ্যে এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা হলে শুক্রবার সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উজিরপুর উপজেলার উত্তর মোড়াকাঠি এলাকার বাসিন্দা ইসমাইল ব্যাপারী (২৪), গৌরনদীর বাটাজোর এলাকার সাকিব খান (১৯) ও দক্ষিণ পশ্চিম পাড়ার লিটন সরদার (৩০)।
জানা যায়, গৌরনদী উপজেলার বাটাজোড় ইউনিয়নের একটি গ্রামে ওই শিশুর বাড়ি। সে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। ১৪ ডিসেম্বর রাতে পাশের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। ২৪ ডিসেম্বর বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় ওই দিন শিশুটির বাবা গৌরনদী মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। শুক্রবার সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নিহতের বাবা সবুজ সরদার জানান, গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে বাড়ির পাশের কিশোর সরকারের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে শিশু তাছলিমা রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়।
বরিশাল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়িত্বপ্রাপ্ত গৌরনদী থানার জিআরও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মু. বেল্লাল হোসেন বলেন, বরিশালের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফসানা শারমিন ইভার আদালতে আসামি ইসমাইল ব্যাপারী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজওয়ান আহমেদ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার তিনজনই শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। এরমধ্যে ইসমাইল আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। ধর্ষণে আরো কেউ জড়িত ছিল কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ইসমাইল ব্যাপারীর বিরুদ্ধে মাদক আইনে গৌরনদী, উজিরপুর এবং ঢাকার শাহবাগ ও সূত্রাপুর থানায় মামলা রয়েছে। লিটনের বিরুদ্ধে ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলা রয়েছে।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া জানান, শিশুটির মা নেই। বাবা দিনমজুরের কাজ করেন। ১৪ ডিসেম্বর বাড়ির পাশে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যায়। কিছু সময় পর বিয়ের বর নিয়ে আসা ইজিবাইকে বসেছিল শিশুটি। তখন খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে পাশের বাগানে নিয়ে যায় আসামিরা। সন্ধ্যার পর স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন ওই তিন যুবক। পরে শ্বাসরোধে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেন মরদেহ।
মন্তব্য করুন